প্রায় ২০ লাখের অধিক শিক্ষার্থী চলতি বছর অথবা ২০২২ সাল এসএসসি এবং তার সম্মান পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা ছিল। নানা কারণে পরীক্ষার ডেট পেছানো রুটিন নতুন করা ইত্যাদি সমস্যার জন্য পরীক্ষা কার্যকর হয়ে ওঠেনি। এজন্য সকল শিক্ষার্থী অটো পাশের দাবি জানাচ্ছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো শিক্ষা মন্ত্রী কি আসলেই অটোফাস দিবেন? তাই সম্পূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর নতুন আলোচনা |
কেন আজ শিক্ষার্থীরা অটোপাশার দাবি জানাচ্ছে এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলেই উঠে আসে দেশের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। উক্ত সমস্যা গুলোর মধ্যে প্রধান সমস্যা গুলো হচ্ছে বৈদ্যুতিক ত্রুটি, রাজনৈতিক গোলযোগ, করণা সংক্রামক ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীদের মন্তব্য:
এতগুলো সমস্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রী চাচ্ছেন না পরীক্ষা চালু করতে। এজন্য বাংলাদেশের প্রায় সব শিক্ষার্থী এখন অটোপাশের দাবি জানাচ্ছে। তারা বলছে ২০২০ সালে যখন একই রকম সমস্যা হয়েছিল তখন তাদের অটোস দেওয়া হয়েছিল। এজন্য এ বছরও দেশের সমস্যার কথা চিন্তা করে অটো পাস দাবি করছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া যদি অটো পাস না দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে সাবজেক্ট কমিয়ে দেওয়া লাগবে। কারণ ২০২১ সালে সমস্যা থাকা সত্ত্বেও যখন অটো পাস দেওয়া হয়নি তখন মাত্র তিনটি বিষয়ের উপর পরীক্ষা হয়েছিল। তাই শিক্ষার্থীদের দাবি অটো পাস না দিতে পারলেও অন্ততপক্ষে তিনটা বিষয়ে পরীক্ষা নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের আরো দাবি রয়েছে গত দুইটি বছরের কথা চিন্তা করে যেন এবারেও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বারবার পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া এবং নানা সমস্যা দেখে পরীক্ষা থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখার কারণে শিক্ষার্থীরা আজ বিরক্ত হয়ে উঠেছে। তাই তারা বলতে চাইছেন তাদের দাবি মানতেই হবে।
পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের প্রধান কারন:
বেশিরভাগ শিক্ষার্থী দাবী জানাচ্ছে অটোর পাশের। তবে শিক্ষার্থীরা এটাও বলছে যদি অতো পাশ না দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে জানা সর্বোচ্চ তিনটি বিষয়ের উপর পরীক্ষা নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা আরো বলছে বারবার পরীক্ষার তারিখ পিছানোর কারণে তাদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। আগের তুলনায় পড়ার মান অনেক কমে গিয়েছে। এজন্য সব দিক চিন্তা-ভাবনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মত প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল ১৯শে জুন 2022 সালে চলতি বছরের এসএসসি এবং তার সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু সিলেটের বন্যার কারণে সেটাও সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
ইতিমধ্যে শিক্ষা বোর্ড আবারও জানিয়েছে আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২২ সালের এসএসসি এবং তার সমমান পরীক্ষা সারা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে। ঠিক সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষা বোর্ড গুলো। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ছেলেটার সুনামগঞ্জের কিছু কিছু এলাকায় বন্যার পানি বেড়ে চলেছে। সঠিকভাবে বলার কোন উপায় নেই 15 সেপ্টেম্বর এসএসসি এবং তার সম্মান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারবে কিনা। এছাড়া বাংলাদেশ রাজনৈতিক সমস্যার মধ্য দিয়ে চলছে অনেক দিন ধরে। অন্যদিকে বাংলাদেশের বিদ্যুতের অবস্থা খুবই করুন। কিছু কিছু এলাকায় 8 থেকে 10 ঘণ্টা পর্যন্ত দিনে লোডশেডিং চলছে। এজন্য বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারছে না।
এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলো। এজন্য সব দিক খেয়াল রেখে যেন পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করা হয় এটাই দাবি শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য:
সব বিষয়গুলো চিন্তা-ভাবনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চলতি বছর পরীক্ষা নিতে চাচ্ছেন না। পরীক্ষা স্থগিত না রেখে শিক্ষার্থীদের দাবি তাদের অটো পাস দেওয়া হোক অথবা তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হোক। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো বলছে যদি আবারও কোন নতুন সমস্যা সৃষ্টি হয় তারপরেও পরীক্ষার তারিখ আবারও পরিবর্তিত হতে পারে।